ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভবানিপুর ব্রিজটি যেন মরণ ফাঁদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে নাগেশ্বরীর ৮ গ্রামের মানুষ। চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পথচারীদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। বিগত ২ বছর যাবৎ ভেঙে পড়ে থাকায় অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়সহ ৮ গ্রামের মানুষকে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা দিয়ে নিচে পানি দেখা যায়। এ ছাড়াও মাঝখানে গর্ত আর পার্শ্ব রেলিং না থাকায় চলাচলের সময় বুকটা কেঁপে ওঠে মৃত্যু ভয়ে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দিগদারী ভবানীপুর গ্রামের কাঠের ব্রিজ জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজটির উপর দিয়ে পুসকুনিরপাড়, নাথেরভিটা, ডারার পাড়, ঝাকুয়াবাড়ী, ফান্দেরভিটা, নওয়ানার ভিটা, মেছপাড়া ও কেরানিয়ারগাঁওসহ ৮ গ্রামের কয়েকশো মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন।

পারাপার হতে গিয়ে বিগত দিনে বহুবার অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
তাই দ্রুত এর কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো মুহূর্তে মরণ ফাঁদ নামের এই ব্রিজ পারাপারে জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় মনির হোসেন আনিছুর রহমান ও মফিজুল জানায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল এক পথচারী ব্রিজ পারাপারের সময় ভাঙা দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং ভিজে নষ্ট হয়ে যায় সঙ্গে থাকা জমির দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র।
নিয়মিত পথচারী আইজার রহমান, সাহিদা ও মোসলেম অনেকটা আক্ষেপ করেই বলেন, কষ্টের কথা আর কী বলবো ভাই। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই। আমরা প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে নিজ কর্মস্থলে যাই। শিক্ষার্থীরা যায় তাদের স্কুলে। ছোট বাচ্চারা ভয়ে যাতায়াত করতে পারে না। ছোট ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরা। দিনের বেলা যাতায়াত করা গেলেও রাতের অন্ধকারে চলতে ভয়ে বুকটা আঁতকে ওঠে।
এ ব্যাপারে ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাচ্চু বলেন, ব্রিজটি দিয়ে শতশত মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। ব্রিজটি ভেঙে দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা অতীব জরুরি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কথা বলেছি। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি দ্রুত কাজ হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভবানিপুর ব্রিজটি যেন মরণ ফাঁদ

আপডেট টাইম : ১১:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে নাগেশ্বরীর ৮ গ্রামের মানুষ। চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পথচারীদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। বিগত ২ বছর যাবৎ ভেঙে পড়ে থাকায় অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়সহ ৮ গ্রামের মানুষকে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা দিয়ে নিচে পানি দেখা যায়। এ ছাড়াও মাঝখানে গর্ত আর পার্শ্ব রেলিং না থাকায় চলাচলের সময় বুকটা কেঁপে ওঠে মৃত্যু ভয়ে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দিগদারী ভবানীপুর গ্রামের কাঠের ব্রিজ জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজটির উপর দিয়ে পুসকুনিরপাড়, নাথেরভিটা, ডারার পাড়, ঝাকুয়াবাড়ী, ফান্দেরভিটা, নওয়ানার ভিটা, মেছপাড়া ও কেরানিয়ারগাঁওসহ ৮ গ্রামের কয়েকশো মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন।

পারাপার হতে গিয়ে বিগত দিনে বহুবার অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
তাই দ্রুত এর কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো মুহূর্তে মরণ ফাঁদ নামের এই ব্রিজ পারাপারে জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় মনির হোসেন আনিছুর রহমান ও মফিজুল জানায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল এক পথচারী ব্রিজ পারাপারের সময় ভাঙা দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং ভিজে নষ্ট হয়ে যায় সঙ্গে থাকা জমির দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র।
নিয়মিত পথচারী আইজার রহমান, সাহিদা ও মোসলেম অনেকটা আক্ষেপ করেই বলেন, কষ্টের কথা আর কী বলবো ভাই। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই। আমরা প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে নিজ কর্মস্থলে যাই। শিক্ষার্থীরা যায় তাদের স্কুলে। ছোট বাচ্চারা ভয়ে যাতায়াত করতে পারে না। ছোট ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরা। দিনের বেলা যাতায়াত করা গেলেও রাতের অন্ধকারে চলতে ভয়ে বুকটা আঁতকে ওঠে।
এ ব্যাপারে ভিতরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাচ্চু বলেন, ব্রিজটি দিয়ে শতশত মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। ব্রিজটি ভেঙে দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা অতীব জরুরি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কথা বলেছি। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করি দ্রুত কাজ হবে।